বেশিরভাগ মার্কিনি বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনমত গঠনের জন্য টিকটক ব্যবহার করে চীন। রয়টার্স ও ইপসোসের করা এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি চীনা মালিকানাধীন শর্ট ভিডিও অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন কংগ্রেসে এই সংক্রান্ত একটি আইনও পাস হয়েছে। মঙ্গলবার শেষ হওয়া দুই দিনের জরিপে প্রায় ৫৮ শতাংশ উত্তরদাতা চীন সরকার ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনমতকে প্রভাবিত করতে’ চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক-কে ব্যবহার করে- এমন একটি বিবৃতির সাথে একমত হয়েছেন।
প্রায় ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা এই বিবৃতির সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। বাকিরা অনিশ্চিত ছিলেন বা প্রশ্নের উত্তর দেননি। ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকানরা মনে করে চীন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মতামতকে প্রভাবিত করতে অ্যাপটি ব্যবহার করে।
টিকটক জানায়, তারা ডেটা নিরাপত্তা প্রচেষ্টায় ১৫০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর ডেটা তারা চীন সরকারের সাথে শেয়ার করবে না।
গত বছর কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “চীন সরকারের অনুরোধে কনটেন্ট প্রচার করা বা সরানো হয় না।”
তবে সাম্প্রতিক জরিপের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি টিকটক।
রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ আমেরিকান টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষে, ৩২ শতাংশ নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছেন এবং বাকিরা নিশ্চিত নন। জরিপে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্ত বয়স্করা অংশ নিয়েছে এবং ১৮ বছরের কম বয়সীরা এতে অংশ নেয়নি।
তবে ১৮ বছরের কম বয়সীরাই যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য হারে টিকটক ব্যবহার করে থাকে।
Leave a Reply